বঞ্চিতের শীত নিবারণে বিশেষ দানে অংশ নিন
২০২০ সমাগত। কোয়ান্টাম মেথডের ২৮ বর্ষপূর্তি। নতুন বছরের শুরুটাই হচ্ছে ধ্যান আর প্রজ্ঞার মধ্য দিয়ে।
১ জানুয়ারি, বুধবার কাকরাইলের আইডিইবি হলে অনুষ্ঠিত হবে মাসিক প্রজ্ঞা জালালির জানুয়ারি পর্ব। চমকপ্রদ এ সূচনাই ইঙ্গিত দেয় ২০২০ হতে যাচ্ছে কোয়ান্টামের জন্যে স্মরণীয় একটি বছর। স্মরণের এ উপলক্ষ্যকে আরো বর্ণাঢ্য করতে প্রস্তুতির আরেক উদ্যোগ- কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের নতুন ক্যাম্পাস। দুই দশকে ধাপে ধাপে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাম্পাসের পর ২০২০ সালে প্রাথমিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে কসমো স্কুলের এক নতুন শিক্ষাঙ্গন।
একসাথে এত বিশালাকৃতির পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ কোয়ান্টামমে এর আগে হয় নি।
সহস্রাধিক নতুন শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক ও সহশিক্ষা প্রশিক্ষণের সকল ব্যবস্থা ছাড়াও এখানে থাকছে ছাত্র আবাসন, শিক্ষক ও কর্মী আবাসন, হাসপাতাল এবং শিক্ষার্থীদের রান্না, পোশাক ও সেবাদানের অন্যান্য সকল অবকাঠামো।
বিশালাকৃতির এ ক্যাম্পাসের খাবার হল নেয়ামাতানের ২৮০ ফুট দীর্ঘ পরিসরে একসাথে বসে খেতে পারবেন সহস্রাধিক কোয়ান্টা।
তিন বছর ধরে বিপুল অর্থব্যয়ে একটানা নির্মাণকাজ চললেও বাকি রয়েছে এখনো বহু কাজ। আসলে স্থাপত্য অবকাঠামোর এটা একটা দিক যে প্রাথমিক নির্মাণে যে সময় বা অর্থ লাগে তার চেয়ে বেশি অর্থ ও সময় লাগে এটাকে সুসম্পন্ন করতে।
কিন্তু তহবিলের দিক থেকে এবার আমরা একটু পিছিয়ে পড়েছি। গত বছরের তুলনায় এবার আমাদের সংগ্রহ প্রায় আট কোটি টাকা কম।
তবে ইনশাল্লাহ! এটি হয়তো একটি পরীক্ষা।
সবাই মিলে উদ্যোগী হলে, তৎপর হলে এ অর্থ খুব সহজেই সংগ্রহ হতে পারে আমাদের মাঝ থেকেই। এজন্যে আগামী ৪০ দিন একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে। নিতে হবে বিশেষ দান সংগ্রহের উদ্যোগ-
এ উদ্দেশ্যেই তাই বিশেষ দান নিজে করা ও পরিচিতদের কাছ থেকে সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি তার জামানার খুব মশহুর বুজুর্গ ছিলেন। তিনি যখন ইন্তেকাল করেন, তার সমসাময়িক সাধকরা নিশ্চিত ছিলেন যে উনি বেহেশতী হয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো ইঙ্গিত পাচ্ছিলেন না।
বেশ কয়েকদিন পর তাদের একজন তাকে স্বপ্ন দেখতে পায়। স্বপ্নেই কথোপকথন হচ্ছে। জোনায়েদ বাগদাদীকে তিনি বললেন, আমরা জানতাম আপনি বেহেশতেই থাকবেন। এত আমল, এত কাজ, এত ইবাদত! বিনিময়ে তো আল্লাহতায়ালা আপনাকে এরকম বেহেশতই দেবেন।
জোনায়েদ বাগদাদী তখন হেসে বললেন, আমিও সেটাই আশা করেছিলাম। কিন্তু যখন সওয়াল-জবাবের সময় হলো তখন আমাকে বলা হলো-অমুক ইবাদতের সময় তোমার মন ঐখানে ছিল, তমুক ইবাদতের সময় মন ঐখানে ছিল, ইত্যাদি।
শুনতে শুনতে আমি হতাশ হচ্ছিলাম। আর মনে মনে বলছিলাম- ইয়া আল্লাহ! ইয়া আল্লাহ! ইয়া আল্লাহ!
এই সময় আল্লাহ বললেন যে, তবে তুমি একটি কাজ করেছিলে যা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। ঐসময় তোমার মন আর অন্য কোথাও ছিল না। যে একদিন শীতের রাতে তুমি যাচ্ছিলে। প্রচণ্ড শীত! কম্বল ছিল তোমার গায়ে।
এমন সময় তুমি দেখলে- পথের পাশে বেড়ালের একটা বাচ্চা শীতে কুঁকড়ে যাচ্ছে। গায়ে ময়লা। তুমি বেড়ালের বাচ্চাটাকে তুলে ওটার গায়ে যে ধুলোবালি ছিল তা ঝেড়ে খুব আদর করে ওটাকে কম্বলের নিচে তোমার বগলের মধ্যে রেখেছিলে।
এই কাজটির সময় তোমার মন আর অন্য কোথাও ছিল না। কাজটা তুমি খুব অন্তর থেকে, খুব মমতা দিয়ে করেছিলে। তো এই ওসিলায় তোমার সমস্ত ইবাদত কবুল করে নেওয়া হলো। তুমি বেহেশতে যাও।
আমাদের ইবাদত তো ‘চালুনি ইবাদত’ এর মতো। চালুনি দিয়ে যেমন পানি পড়ে যায়, আমাদের ইবাদতও তেমনি না ঝরে গিয়ে কতটুকু অবশিষ্ট থাকে, তা একটা প্রশ্ন।
অর্থাৎ, ভাবনাটা হচ্ছে- আমি তো আমার বাচ্চার জন্যে, আমার আত্মীয়ের জন্যে, নিজের জন্যে শীতবস্ত্র কিনছি। সেখান থেকে কিছুটা বাঁচিয়ে যদি এই বাচ্চাদের শীত নিবারণের জন্যে আমি দিতে পারি সেটাও অনেক।
এবং শুধু নিজে দেয়াই নয়, পরিচিতদেরও উদ্বুদ্ধ করা যাতে তারাও শামিল হতে পারে এ পুণ্যময় দানের বরকতে।
হয়তো এই অসিলায়ই আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে পরিত্রাণ দিতে পারেন, আমাদের কাজটাকে কবুল করে নিতে পারেন। আমাদের গুনাহ মাফ করে দিতে পারেন। কারণ আল্লাহতায়ালা তো আসলে ওসিলা খোঁজেন!
কাজেই আগামী ৪০ দিন কোয়ান্টাদের শীতবস্ত্রের জন্যে বিশেষ দান সংগ্রহ-এটাকে ‘বিশেষ আমল’ হিসেবে করতে হবে।
আসলে আমরা এতিমের মাথার ওপরে হাত রেখেছি বলেই আল্লাহর হাত আমাদের মাথার ওপরে আছে এবং অনেক প্রতিকূলতা তুফানের মতো এলেও মিলিয়ে গেছে বুদবুদের মতো।
অর্থাৎ ‘এতিমানে দান’ যেন না কমে। যিনি যা দিচ্ছেন, তা যেন অব্যহত থাকে।
আগামী ৪০ দিনের সম্মিলিত কাজের মধ্য দিয়ে আমরা এই ঘাটতি পূরণ শুধু নয়, হয়তো দেখা যাবে তা বাড়তি হয়ে গেছে পরম করুণাময়ের অনুগ্রহে।
[২০ নভেম্বর ২০১৯, সজ্ঞা জালালি, আইডিইবি ভবন, ঢাকা]
গুরুজীর এই আলোচনার ভিডিও দেখতে...
১ জানুয়ারি, বুধবার কাকরাইলের আইডিইবি হলে অনুষ্ঠিত হবে মাসিক প্রজ্ঞা জালালির জানুয়ারি পর্ব। চমকপ্রদ এ সূচনাই ইঙ্গিত দেয় ২০২০ হতে যাচ্ছে কোয়ান্টামের জন্যে স্মরণীয় একটি বছর। স্মরণের এ উপলক্ষ্যকে আরো বর্ণাঢ্য করতে প্রস্তুতির আরেক উদ্যোগ- কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের নতুন ক্যাম্পাস। দুই দশকে ধাপে ধাপে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাম্পাসের পর ২০২০ সালে প্রাথমিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে কসমো স্কুলের এক নতুন শিক্ষাঙ্গন।

[ভিডিও] নতুন ক্যাম্পাস : ২০২০
একসাথে এত বিশালাকৃতির পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ কোয়ান্টামমে এর আগে হয় নি।সহস্রাধিক নতুন শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক ও সহশিক্ষা প্রশিক্ষণের সকল ব্যবস্থা ছাড়াও এখানে থাকছে ছাত্র আবাসন, শিক্ষক ও কর্মী আবাসন, হাসপাতাল এবং শিক্ষার্থীদের রান্না, পোশাক ও সেবাদানের অন্যান্য সকল অবকাঠামো।
বিশালাকৃতির এ ক্যাম্পাসের খাবার হল নেয়ামাতানের ২৮০ ফুট দীর্ঘ পরিসরে একসাথে বসে খেতে পারবেন সহস্রাধিক কোয়ান্টা।
তিন বছর ধরে বিপুল অর্থব্যয়ে একটানা নির্মাণকাজ চললেও বাকি রয়েছে এখনো বহু কাজ। আসলে স্থাপত্য অবকাঠামোর এটা একটা দিক যে প্রাথমিক নির্মাণে যে সময় বা অর্থ লাগে তার চেয়ে বেশি অর্থ ও সময় লাগে এটাকে সুসম্পন্ন করতে।
কিন্তু তহবিলের দিক থেকে এবার আমরা একটু পিছিয়ে পড়েছি। গত বছরের তুলনায় এবার আমাদের সংগ্রহ প্রায় আট কোটি টাকা কম।
তবে ইনশাল্লাহ! এটি হয়তো একটি পরীক্ষা।
সবাই মিলে উদ্যোগী হলে, তৎপর হলে এ অর্থ খুব সহজেই সংগ্রহ হতে পারে আমাদের মাঝ থেকেই। এজন্যে আগামী ৪০ দিন একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে। নিতে হবে বিশেষ দান সংগ্রহের উদ্যোগ-
১. নির্মাণকাজ সম্পন্নের জন্যে
নির্মাণের জন্যে লামায় এখন চলছে আবহাওয়া অনুকুল সময় (ডিসে-এপ্রিল)। প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হলে অনুকুল এ সময়ে নির্মাণকাজকে এগিয়ে নেয়া যাবে চমৎকার গতিতে। ধারণক্ষমতার সমপরিমাণ কোয়ান্টাকে ভর্তি করা যাবে।এ উদ্দেশ্যেই তাই বিশেষ দান নিজে করা ও পরিচিতদের কাছ থেকে সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে হবে।
২. শীতবস্ত্রের জন্যে
এ বছর বিশেষ দানের আরেকটি উদ্যোগ হলো কোয়ান্টাদের জন্যে শীতবস্ত্র। কারণ এ বছর প্রলম্বিত বর্ষা এবং বিলম্বিত শীতের কারণে ঠান্ডার প্রকোপ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। বিশেষত লামার পাহাড়ি প্রকৃতিতে এ শীতের আক্রমণ আরো চড়া হবার আশংকা আছে। বিশেষত, কোয়ান্টারা ঘুমায় লোহার খাটে। শীতের রাতে যাতে দু’তিনপ্রস্থ কম্বল না দিলে ঘুমানোর উপযোগীই করা যায় না।[স্পিচ] শীতবস্ত্র - অর্থের সাথে হৃদয়ের উষ্ণতাও যেন থাকে!
সেই সাথে আছে পরিধেয় হিসেবে গরম কাপড়ের প্রয়োজন। বর্তমান দুসহস্রাধিক শিশুর সাথে এবার নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আরো ৪০০ দুস্থশিশু।

[ভিডিও] শীত উপহার
হযরত জোনায়েদ বাগদাদীর ঘটনা
আসলে শীতার্ত একটি অসহায় প্রাণকে বাঁচানোও যে কত বড় ত্রাণের কারক হয়ে উঠতে পারে- তার এক সত্যি ঘটনা আছে হযরত জোনায়েদ বাগদাদী নামক এক সাধকের জীবনে।তিনি তার জামানার খুব মশহুর বুজুর্গ ছিলেন। তিনি যখন ইন্তেকাল করেন, তার সমসাময়িক সাধকরা নিশ্চিত ছিলেন যে উনি বেহেশতী হয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো ইঙ্গিত পাচ্ছিলেন না।
বেশ কয়েকদিন পর তাদের একজন তাকে স্বপ্ন দেখতে পায়। স্বপ্নেই কথোপকথন হচ্ছে। জোনায়েদ বাগদাদীকে তিনি বললেন, আমরা জানতাম আপনি বেহেশতেই থাকবেন। এত আমল, এত কাজ, এত ইবাদত! বিনিময়ে তো আল্লাহতায়ালা আপনাকে এরকম বেহেশতই দেবেন।
জোনায়েদ বাগদাদী তখন হেসে বললেন, আমিও সেটাই আশা করেছিলাম। কিন্তু যখন সওয়াল-জবাবের সময় হলো তখন আমাকে বলা হলো-অমুক ইবাদতের সময় তোমার মন ঐখানে ছিল, তমুক ইবাদতের সময় মন ঐখানে ছিল, ইত্যাদি।
শুনতে শুনতে আমি হতাশ হচ্ছিলাম। আর মনে মনে বলছিলাম- ইয়া আল্লাহ! ইয়া আল্লাহ! ইয়া আল্লাহ!
এই সময় আল্লাহ বললেন যে, তবে তুমি একটি কাজ করেছিলে যা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। ঐসময় তোমার মন আর অন্য কোথাও ছিল না। যে একদিন শীতের রাতে তুমি যাচ্ছিলে। প্রচণ্ড শীত! কম্বল ছিল তোমার গায়ে।
এমন সময় তুমি দেখলে- পথের পাশে বেড়ালের একটা বাচ্চা শীতে কুঁকড়ে যাচ্ছে। গায়ে ময়লা। তুমি বেড়ালের বাচ্চাটাকে তুলে ওটার গায়ে যে ধুলোবালি ছিল তা ঝেড়ে খুব আদর করে ওটাকে কম্বলের নিচে তোমার বগলের মধ্যে রেখেছিলে।
এই কাজটির সময় তোমার মন আর অন্য কোথাও ছিল না। কাজটা তুমি খুব অন্তর থেকে, খুব মমতা দিয়ে করেছিলে। তো এই ওসিলায় তোমার সমস্ত ইবাদত কবুল করে নেওয়া হলো। তুমি বেহেশতে যাও।
তাহলে আমাদের অবস্থান কী?
তো হযরত জোনায়েদ বাগদাদীর মতো বুজুর্গকেও যদি একটি প্রাণিকে শীত থেকে বাঁচাবার পুণ্য দিয়ে ত্রাণ পেতে হয় তো আমাদের অবস্থা কী!আমাদের ইবাদত তো ‘চালুনি ইবাদত’ এর মতো। চালুনি দিয়ে যেমন পানি পড়ে যায়, আমাদের ইবাদতও তেমনি না ঝরে গিয়ে কতটুকু অবশিষ্ট থাকে, তা একটা প্রশ্ন।
আগামী ৪০ দিনের বিশেষ আমল
বিশেষ দান সংগ্রহের এই কাজটিতে তাই আগামী ৪০ দিন আমরা মন-প্রাণ ঢেলে দিতে চাই। যাতে যে ঘাটতিটুকু রয়েছে তা পূরণ হয়ে যায়।অর্থাৎ, ভাবনাটা হচ্ছে- আমি তো আমার বাচ্চার জন্যে, আমার আত্মীয়ের জন্যে, নিজের জন্যে শীতবস্ত্র কিনছি। সেখান থেকে কিছুটা বাঁচিয়ে যদি এই বাচ্চাদের শীত নিবারণের জন্যে আমি দিতে পারি সেটাও অনেক।
এবং শুধু নিজে দেয়াই নয়, পরিচিতদেরও উদ্বুদ্ধ করা যাতে তারাও শামিল হতে পারে এ পুণ্যময় দানের বরকতে।
হয়তো এই অসিলায়ই আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে পরিত্রাণ দিতে পারেন, আমাদের কাজটাকে কবুল করে নিতে পারেন। আমাদের গুনাহ মাফ করে দিতে পারেন। কারণ আল্লাহতায়ালা তো আসলে ওসিলা খোঁজেন!
কাজেই আগামী ৪০ দিন কোয়ান্টাদের শীতবস্ত্রের জন্যে বিশেষ দান সংগ্রহ-এটাকে ‘বিশেষ আমল’ হিসেবে করতে হবে।
একটি সতর্কতা!
তবে একটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে- বিশেষ দান সংগ্রহ করতে গিয়ে যেন নিয়মিত দান যেমন, মাটির ব্যাংক, এতিমান ইত্যাদি ফান্ডে আমরা কোনো কম না করি! কারণ এতিমের বরাদ্দে কম দেয়ার চিন্তা এলেই দানের বরকত নষ্ট হয়ে যাবে।আসলে আমরা এতিমের মাথার ওপরে হাত রেখেছি বলেই আল্লাহর হাত আমাদের মাথার ওপরে আছে এবং অনেক প্রতিকূলতা তুফানের মতো এলেও মিলিয়ে গেছে বুদবুদের মতো।
অর্থাৎ ‘এতিমানে দান’ যেন না কমে। যিনি যা দিচ্ছেন, তা যেন অব্যহত থাকে।
বিশেষ দান হবে ‘এক্সট্রা’
বিশেষ দানটা হবে এক্সট্রা। কারণ আল্লাহতায়ালা নিয়ত দেখেন সবসময়। যখন তিনি দেখবেন আপনি বর্তমান দানে কোনো কমতি না করে অতিরিক্ত দান সংগ্রহের চেষ্টা করছেন, তখন তিনিই অতিরিক্তের সংস্থান করে দেবেন।অনলাইনে দান করুন [টিউটোরিয়াল]
কাজ শুরু হোক আজ থেকেই
তো আজ থেকেই আমরা এই লক্ষ্যে কাজ শুরু করব। আর কোয়ান্টামের অগ্রবর্তী সদস্যরা যখন আন্তরিকতা নিয়ে কোনো কাজ করেছেন আল্লাহ সবসময় কবুল করেছেন। এবং এবারও আল্লাহ আমাদের বরকত দেবেন ইনশাল্লাহ।আগামী ৪০ দিনের সম্মিলিত কাজের মধ্য দিয়ে আমরা এই ঘাটতি পূরণ শুধু নয়, হয়তো দেখা যাবে তা বাড়তি হয়ে গেছে পরম করুণাময়ের অনুগ্রহে।
[২০ নভেম্বর ২০১৯, সজ্ঞা জালালি, আইডিইবি ভবন, ঢাকা]
গুরুজীর এই আলোচনার ভিডিও দেখতে...
Comments
Post a Comment